মুন্সীগঞ্জ একটি পিকনিকের লঞ্চে কোমরের বেল্ট দিয়ে দুই যুবতীকে প্রকাশ্যে পেটানোর অভিযোগ ওঠা কথিত সমন্বয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার বেলা দেড়টার দিকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তারকৃত নেহাল আহাম্মেদ জিহাদ উপজেলার যোগনি ঘাটের মনির হোসেনের ছেলে।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালে নোঙ্গর করা তিনতলা লঞ্চ ‘এম ভি ক্যাপ্টেনে’ যুবতীকে মারধর করার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযো গমাধ্যমে।
ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সাদা রঙের পোশাক পরিহিত আনুমানিক ২০ বছরের এক নারীকে লঞ্চের একেবারে সামনের অংশে উঠিয়ে কোমরের বেল্ট দিয়ে বেপরোয়াভাবে পেটাচ্ছেন এক যুবক। এক সময় সেখানে চেক জামা পরিহিত আরেক নারীও ছিলেন।
যখন তাদের পেটানো হচ্ছিল তখন ৫০-৬০ জন বিভিন্ন বয়সী পুরুষ সেই দৃশ্য তাদের মোবাইল ফোনে ধারণ করে উল্লাস করছিল। তারা ঘটনার সমর্থনে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিল।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফিরোজ কবির বলেন, “ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের উঠতি বয়সী ৩০০-৪০০ ছেলে-মেয়ে পিকনিক ও ভ্রমণের উদ্দেশ্যে এমভি ক্যাপ্টেন নামের লঞ্চটি ভাড়া করে। লঞ্চটি চাঁদপুর ঘুরে ঢাকায় ফেরার পথে খাবার কেনার জন্য মুন্সীগঞ্জ লঞ্চ ঘাটে নোঙর করে। “এ সময় ৮-১০ জন যাত্রী চা-নাস্তা খাওয়ার জন্য নিচে নামলে বিষয়টিতে লঞ্চ ঘাটে থাকা ছাত্র-জনতা ক্ষুব্ধ হয়। তখন ঘাটে থাকা ৫০-৬০ জন মানুষ লঞ্চে উঠলে লঞ্চের যাত্রীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। লঞ্চের লোকজন তাদের বাধা দেন।
“একপর্যায়ে লঞ্চে থাকা ছেলেমেয়েদের হেনস্তা ও মারপিট করা হয় এবং তারা লঞ্চে ভাঙচুর চালায়। এ সময় দুই নারীকে লঞ্চের সামনে এনে প্রকাশ্যে প্রহার করে এক যুবক।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির বলেন, এই ঘটনায় অভিযুক্ত নেহালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।#
মন্তব্য করুন